ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পেস্ট কালার লাগেজেই কি ছিল আনারের টুকরো দেহ

আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার পর মরদেহ গায়েবের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ হোয়েছে।
  • | ২৪ মে, ২০২৪
পেস্ট কালার লাগেজেই কি ছিল আনারের টুকরো দেহ ভিডিও থেকে নেয়া

আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার পর মরদেহ গায়েবের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ হোয়েছে। যেখানে দেখা যায় পেস্ট কালারের লাগেজ নিয়ে খুনিদের সটকে পড়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। সেই লাগেজে আনারের খণ্ডিত মরদেহ রয়েছে বলে ধারণা কলকাতা পুলিশের। তাই লাগেজ আর মরদেহ উদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ।


সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা যায়, গত ১৩ মে দুপুরে ২টা ৫৩ মিনিটের দিকে একটি ফ্ল্যাটের সামনে হাজির হন তিন ব্যক্তি। আগে থেকেই ভেতরে থাকা কেউ একজন দরজা খুলে দিলে জুতা খুলে একে একে ভেতরে প্রবেশ করেন ওইতিন ব্যক্তি। ছবিতে দেখা ওই তিন ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। যাদের একজন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। বাকি দুজন হলেন, ফয়সাল ও ঢাকায় গ্রেফতার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। গত ১৩ মে তিনজনই কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন এক সঙ্গে।


আরেকটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, একই ফ্ল্যাট থেকে বের হচ্ছেন ২ জন। তবে এবার তাদের সঙ্গে নেই সংসদ সদস্য আনার। তবে তাদের সঙ্গে আছে রহস্যজনক পেস্ট কালারের একটি লাগেজ। যে লাগেজটিকে নিয়ে একে একে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসছেন সৈয়দ আমানুল্লাহ এবং আনার হত্যার পর ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার জাহিদ। লাগেজের বাইরেও তাদের হাতে বেশ কয়েকটি শপিং ব্যাগও দেখা যায়। এরপর লিফটের সামনে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর নিচে নেমে পড়েন তারা।


আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আসামিদের ভাষ্য অনুযায়ী পুলিশ বলছে, মরদেহ টুকরো টুকরো করে লাগেজে করে সরিয়ে ফেলা হয়। সরানোর আগে তাতে মসলা মিশিয়ে নেয় তারা। সিসিটিভির ফুটেজেও মিলেছে তেমন কর্মকাণ্ডের প্রমাণ। এ অবস্থায় মরদেহ গুমের কাজে ব্যবহৃত লাগেজ ও খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে মাঠে নেমেছে কলকাতা পুলিশ।

 

ভারতে গ্রেফতার জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার হাতিশালা বর্জ্য খালে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

 

এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডে দেশে গ্রেফতার তিন আসামি শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ আমান, তানভীর ভূঁইয়া এবং শিলাস্তি রহমানকে আজ আদালতে তোলা হচ্ছে। সেখানে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করবে গোয়েন্দা পুলিশ।


গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, গ্রেফতাররা প্রত্যেকেই আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডে এবং তার মরদেহ গুম করার কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডটি ভারতে সংঘটিত হওয়ায় এরইমধ্যে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের একটি প্রতিনিধি দলও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এসে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

 

অন্যদিকে আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনকে। ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ভাই তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শাহিন কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের ৫৬বিইউ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

 

তার দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাই তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।