ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ‘অপরাধমূলক কার্যকলাপের’ প্রমাণ মেলেনি

হেলিকপ্টারটি হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে জল্পনা চলছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কোনো গুজব ছড়ানোর বিষয়ে চলতি সপ্তাহে ইরানের শীর্ষ কৌসুলি সতর্ক করেছেন।
  • | ২৫ মে, ২০২৪
রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ‘অপরাধমূলক কার্যকলাপের’ প্রমাণ মেলেনি ১৯ মে ইরানের উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হন

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার প্রাথমিক প্রতিবেদনে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

শুক্রবার (২৪ মে) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

ইরানের সামরিক বাহিনী এক প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে তাতে কোনো নাশকতা বা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রকাশ করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষগুলো বা এ ধরনের কিছুর কোনো চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি। এটি উঁচু পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। কন্ট্রোল টাওয়ার ও ফ্লাইট ক্রুদের কথোপকথনেও সন্দেহ করার মতো কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’

তদন্ত এগিয়ে যাওয়ার পর আরও বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। মৃত্যুর চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাইসিকে শিয়া মুসলিমদের পবিত্র শহর মাশহাদে কবর দেওয়া হয়।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে জল্পনা চলছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কোনো গুজব ছড়ানোর বিষয়ে চলতি সপ্তাহে ইরানের শীর্ষ কৌসুলি সতর্ক করেছেন।

আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, এক ব্যক্তির পোস্ট করা ‘মিথ্যা’ একটি প্রতিবেদন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে আর এ পর্যন্ত তা চার কোটিবার দেখা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে ওই পোস্টে সেগুলোর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার ইরানের উত্তরাঞ্চলে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়, তাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হন।