ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে সাতক্ষীরায়। এতে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত পানিবৃদ্ধিতে ভেসে গেছে হাজার বিঘা মাছের ঘের। এতে রেমালের তাণ্ডবে একরাতেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন মাছচাষিরা।
আজ সোমবার (২৭ মে) জেলার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একই চিত্র দেখা যায়।
দাতিনাখালী গ্রামের চাষি সোহাগ হোসেন বলেন, ১২ শতক জায়গা নিয়ে ঘের করতাম। ঝড় আসার খবর পেয়ে দুদিন ধরেই মেরামতের কাজ করেছি। কিন্তু পানি এত বেশি বেড়েছে, পুরো ঘের তলিয়ে গেছে। ঘেরের ওপরেই নির্ভর করে চলে আমাদের জীবিকা। প্রতিবছরই এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
অপর এক চাষি আব্দুল হালিম বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে সাদা মাছ ও চিংড়ি চাষ করেছিলাম। একরাতেই সব ভেসে গেছে। ধার দেনা করে যে মাছ ছেড়েছিলাম সেই টাকাও ওঠেনি। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ওই ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারে আমাদের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য ঘের তলিয়ে গেছে।
বৃষ্টির যে বেগ, এটি অব্যাহত থাকলে বাকি যেসব ঘের রয়েছে তাও তলিয়ে যেতে পারে। কারণ আমাদের এ অঞ্চলের মানুষ কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।