রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার। ইতোমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় সেজন্য কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত রোববার (২৬ মে) থেকে খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টানা ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও পাহাড়ের উপর ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্ল টিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসীরা। তা ছাড়া বৃষ্টি বাড়লে এসব জায়গায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন। পাহাড় ধসের আতঙ্ক নিয়ে স্থানীয়রা বসবাস করছে। তবে তারা বলছে, বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
শালবন এলাকার বাসিন্দা মোতালেব, আবু হানিফ মহিউদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে গেছে। খুব আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছি। বৃষ্টি হলে রাতের বেলায় ভয়ে ঘুম আসে না। গত বছর যেসব জায়গায় ধসের শঙ্কা রয়েছে সেসব স্থানে এবারও পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, খাগড়াাছড়ির দীঘিনালা -মারিশ্যা সড়ক ও মহালছড়ি -সিন্দুকছড়ি সড়কে পাহাড় ধস মোকাবিলায় কাজ করছে সড়ক বিভাগ। পাহাড় ধসে যাতে যান চলাচল বিঘ্নিত না হয় সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে সড়ক বিভাগের এ নির্বাহী প্রকৌশলী।
খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং দুর্যোগ কবলিতদের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন।
তা ছাড়া খাগড়াছড়িতে দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন জেলায় খোলা হয়েছে ১০০টি আশ্রয় কেন্দ্র।