উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় গোয়েন্দা স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটটি মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হলে দেশটির এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝ আকাশে রকেট বিস্ফোরিত হওয়ার পর কক্ষপথে দ্বিতীয় স্পাই স্যাটেলাইট স্থাপনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ‘অজ্ঞাত প্রজেক্টাইল’ উৎক্ষেপণের খবর দেয়। আর এরপরই সোমবার গভীর রাতে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই স্বীকারোক্তি এলো।
উত্তর কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস টেকনোলজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, নতুন স্যাটেলাইট ক্যারিয়ার রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম ধাপের উড্ডয়নের সময় এটি মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়।
ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সম্ভাব্য বিভিন্ন কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের কর্মকর্তারা এর আগে বলেন, উত্তর কোরিয়ার এই রকেট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়া পীত সাগরের ওপর ‘দক্ষিণ দিকে একটি অজ্ঞাত প্রজেক্টাইল’ নিক্ষেপ করেছে এবং এর কয়েক মিনিট পরে সমুদ্রে অনেক টুকরো দেখা গেছে।
জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকেও একই ফলাফলের কথা জানিয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন: ‘যে এলাকায় ঘোষণা করা হয় সেখানে ক্ষেপণাস্ত্রটি উড্ডয়ন করেনি এবং উত্তর কোরিয়া যেভাবে চেয়েছে পরিস্থিতি সেভাবে থাকেনি। এটি স্যাটেলাইট ছিল কিনা তা আমরা এখনও বিশ্লেষণ করছি।’
জাপান অবশ্য এই ঘটনায় আগেই একটি জরুরি সতর্কতা জারি করে এবং দক্ষিণ ওকিনাওয়া প্রিফেকচারের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে পরে সেই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয় এবং সেসময় বলা হয়, রকেটটি জাপানের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে উড়বে বলে মনে হচ্ছে না।
এর আগে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করে উত্তর কোরিয়া। ২৭ মে থেকে আগামী ৪ জুনের মধ্যে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথাও জানায় দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন গত বছরের শেষের দিকে বলেছিলেন, পিয়ংইয়ং তিনটি সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যাটেলাইটগুলো পিয়ংইয়ংয়ের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা উন্নত করতে পারে।