ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে বলে মনে করে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের ধারণা— ইসরায়েল এখনো রাফায় পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেনি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন। ইসরায়েলি বাহিনী শহরটি কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং মিসর সীমান্তে নজরদারির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড় দখলের খবর আসার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
যদিও এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, লাখো বেসামরিকের আশ্রয়স্থল রাফায় ইসরায়েল পূর্ণমাত্রায় হামলা চালালে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবে।
সংবাদ সম্মেলনে কিরবিকে ইসরায়েলের রোববার রাফাতে চালানো বিমান হামলা ও তাঁবুতে থাকা ৪৫ জন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। এর উত্তরে কিরবি বলেন, রোববারের হামলায় নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর খবর ‘হৃদয়বিদারক’ এবং ‘ভয়াবহ’।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংঘাতে কোনো নিরীহ মানুষের প্রাণ হারানো উচিত নয়।’
কিরবি স্বীকার করেন, ইসরায়েল ঘটনার তদন্ত করছে। রাফাহতে হামলার পর এ নিয়ে কথা বলার কোনো নীতি পরিবর্তন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে কিরবি জোর দিয়ে বলেন, আমরা এখনো বিশ্বাস করি না, রাফাহতে কোনো বড় স্থল অভিযানের নিশ্চয়তা আছে এবং আমরা এই মুহূর্তে তা দেখছি না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই মুখপাত্র বলেন, এটি পূর্ণমাত্রার অভিযানের সংজ্ঞা পূরণ করে না কারণ আমরা তাদের রাফাহতে হামলা করতে দেখিনি। আমরা স্থলপথে কোনো ধরনের সমন্বিত কৌশলে বৃহৎ ইউনিট, বিপুল সংখ্যক সেনা প্রবেশ করতে দেখিনি।
গাজা উপত্যকার রাফায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষিত একটি শরণার্থী শিবিরে রোববার (২৬ মে) বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাঁবু দিয়ে গড়ে তোলা ওই শরণার্থীশিবিরে দখলদার সেনাদের হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন আহত হয়েছেন। যদিও ইসরায়েল বলেছে— তারা মনে করে বিস্ফোরণের জন্য আশপাশে হামাসের মজুত করা অস্ত্রের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে।
সূত্র: বিবিসি