ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ

বাস মালিকদের লাভবান করতে ‘কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন’ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
  • | ৩০ মে, ২০২৪
বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ সংগৃহীত

বাস মালিকদের লাভবান করতে ‘কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন’ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এ কথা জানান।


সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরি বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ নির্মাণের পরে রেল কর্তৃকপক্ষ শুধু রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার দুটি ট্রেন সার্ভিস চালু করে। চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ জমিজমা, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, নদী-নালা,খাল-বিল বিলীন করে রেলপথের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু ট্রেন সার্ভিস চালুর পর থেকে তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। 


‘এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির মুখে ঈদুল ফিতরের সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে কক্সবাজার স্পেশাল নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা যখন এই ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন, তখন বাস মালিকেরা একে একে সব পরিবহণে যাত্রী সংকট দেখা দিলে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। তারপরও বাসে যাত্রী না পাওয়ায় বাস মালিকরা রেল প্রশাসনের কর্তৃকপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছে বলে এ রুটে যাত্রীদের অনেকেই মনে করেন। তাই বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের জনপ্রিয় ট্রেন সার্ভিস কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।’ 


বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবিলম্বে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার যাত্রী সাধারণকে সরকারের অনন্য অবদান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপরিষেবা গ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।