ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলায় নিউইয়র্কে মুসলিম নার্স বরখাস্ত

জাবর ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, তাকে ৭ মে পুরস্কৃত করা হয় এবং সেসময় তিনি ওই মন্তব্য করেন। পরে একই মাসের শেষের দিকে তাকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়।
  • | ৩১ মে, ২০২৪
ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলায় নিউইয়র্কে মুসলিম নার্স বরখাস্ত ফিলিস্তিনি মার্কিন এই মুসলিম নার্সের নাম হেসেন জাবর

ইসরায়েলকে নিয়ে মন্তব্য করায় যুক্তরাষ্ট্রে এক মুসলিম নার্সকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নিজের পেশাগত কাজের জন্য পুরস্কার গ্রহণের সময় করা মন্তব্যে ওই নার্স গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেন। শুক্রবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় তাদের সন্তানদের হারানো শোকাহত মায়েদের সাথে কাজের জন্য পুরষ্কার গ্রহণের বক্তৃতায় গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ বলার পরে নিউইয়র্ক সিটির একটি হাসপাতাল ফিলিস্তিনি মার্কিন এক মুসলিম নার্সকে বরখাস্ত করেছে।

বরখাস্তকৃত ওই নার্সের নাম হেসেন জাবর। তিনি এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথ হাসপাতালের প্রসববেদনা ও ডেলিভারি নার্স ছিলেন।

ওই হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, ‘বিভাজনমূলক ইস্যুতে কর্মক্ষেত্রে নিজের মতামত প্রকাশ না করতে’ প্রসববেদনা ও ডেলিভারি নার্স হেসেন জাবরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়েছে।’

জাবর ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, তাকে ৭ মে পুরস্কৃত করা হয় এবং সেসময় তিনি ওই মন্তব্য করেন। পরে একই মাসের শেষের দিকে তাকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়।

পুরস্কার গ্রহণের সময় দেওয়া বক্তৃতার একটি অংশে ফিলিস্তিনি মার্কিন এই নার্স গাজা যুদ্ধের সময় বাচ্চাদের হারিয়ে যাওয়া মায়েদের সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, পুরস্কারটি তার কাছে ‘একান্তই ব্যক্তিগত’।

জাবর তার বক্তৃতার ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘গাজায় বর্তমান গণহত্যার সময় আমার দেশের নারীরা অকল্পনীয় ক্ষতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেখে আমার বেদনা হয়।’

হাসপাতালের মুখপাত্র অবশ্য বলছেন, জাবরকে গত বছরের ডিসেম্বরে সতর্ক করা হয়। তার দাবি, ‘আগের ঘটনার পরে, কর্মক্ষেত্রে এই বিভাজনমূলক অভিযুক্ত ইস্যুতে তার মতামত না আনতে বলা হয়।’

হাসপাতালের এই মুখপাত্র আগের ঘটনার বিবরণ না দিয়ে বলেন, ‘এর পরিবর্তে তিনি সাম্প্রতিক একটি ইভেন্টে তার প্রতি যে পরামর্শ ছিল তা না মানার পথ বেছে নেন। ওই অনুষ্ঠানে তার বহু সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার মন্তব্যে বিরক্ত হন।’

তার ভাষায়, ‘ফলস্বরূপ, জাবর এখন আর এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের কর্মী নয়।’