ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাজনীতির মাঠেও ইউসুফ পাঠানের ছক্কা

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে কেন্দ্রটি কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গড় নামেই পরিচিত। তবে এবার এ আসনটিতে বাজিমাত করেন পাঠান।
  • | ০৪ জুন, ২০২৪
রাজনীতির মাঠেও ইউসুফ পাঠানের ছক্কা ইউসুফ পাঠান

২২ গজে ভারতীয় জার্সিতে বহু বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইউসুফ পাঠান। ম্যান ইন ব্লু জার্সিতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসেবে সুনামও কামিয়েছেন বেশ। এবার তিনি নাম লেখিয়েছেন রাজনীতিতে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন এই ক্রিকেটার। আর রাজনীতির মাঠেও প্রথম দেখায় ছক্কা মারলেন সাবেক ভারতীয় এই তারকা।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে কেন্দ্রটি কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গড় নামেই পরিচিত।  তবে এবার এ আসনটিতে বাজিমাত করেন পাঠান। বহরমপুরে যিনি টানা পাঁচবারের সাংসদ কংগ্রেসের, সেই অধীর চৌধুরীকে তৃণমূলের ইউসুফ হারালেন বিশাল ব্যবধানে।

বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ১৫তম রাউন্ড গোনা শেষে এক নম্বরে তৃণমূল, দুই নম্বরে বিজেপি এবং কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী একেবারে তিন নম্বরে পৌঁছে যান। ১৫ দফার শেষে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৫,২২,৭৮০, বিজেপির ভোট ৩,৭৯,০৭৬, কংগ্রেসের ভোট  ৩, ৬০,৪৮৩টি।

১৯৯৯ থেকে বহরমপুরে টানা জিতছেন অধীর। একটা সময় লড়েছেন বামেদের বিরুদ্ধে। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হয়নি। প্রথমবার তিনি সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ২০১৯ সালে। মুর্শিদাবাদের দুর্গ দখল করতে শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠান তৃণমূল নেত্রী।

একে একে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শুরু করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সাঙ্গপাঙ্গরা। লোকসভায় নিজের জেলায় দুটি আসন হারালেন অধীর। তবে তৃণমূলের বিজয়রথ সেবার রুখে দেয় বহরমপুর। এবার পারল না।

অধীর চৌধুরী যেমন মুর্শিদাবাদের কঠিন রাজনীতিবিদ। তাকে হারানো যে সহজ বিষয় নয়, তা বলছে কলকাতার ক্রীড়ামহলও। সৌরভ গাঙ্গুলী নির্বাচনের আগে বলেন, ‘‘বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ইউসুফের লড়াই মানে ব্রেট লির বিপক্ষে ব্যাটিং। কারণ অধীর এমন একজন নেতা, যিনি হাতের তালুর মতো চেনেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রকে।’’ তাঁকে হারানো মানে ব্রেট লি-কে ছক্কা হাঁকানোর সামিল।