ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। তাই সরকার গঠনে জোট গড়ার কথা ভাবতে হচ্ছে দলগুলোকে। এ অবস্থায় ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) প্রধান নেতা নীতিশ কুমার ও তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।
জোটে টানতে তাদের নিয়ে একরকম টানাটানি শুরু হয়ে গেছে। একদিকে ‘ইনডিয়া’ জোট অন্যদিকে এনডিএ। দুই পক্ষই তাদের জোটে বেড়াতে চাইছে।
ভারতের সাবকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারের উচিত ভারতের সংবিধান রক্ষার জন্য এনডিএ ছেড়ে ‘ইনডিয়া’ জোটে চলে আসা। ইতিহাস তাদের এ কাজকে বিচার করবে।
তিনি লিখেছেন, মোদি নির্লজ্জের মতো ভারতের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। ইডি সিবিআই আর আয়কর অভিযানের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ওপর আঘাত হানছেন। অবৈধ ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে তিনি টাকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। ভোটে জেতার জন্য ও এমপি এমএলএ কেনার জন্য তিনি এটা করছেন। মিডিয়া, আমলাতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। ক্ষমতা ধরে রাখার মোহ থেকে তিনি এসব করছেন।
মানুষ তথা কথিত দৈব মানুষকে তার নিজের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছেন, সেটা হলো ইতিহাসের ডাস্টবিন, যেখানে এর আগে অনেক একনায়ক গেছেন, লিখেছেন যশবন্ত সিনহা।
এবারের ভোট কার্যত সব হিসাব ওলটপালট করে দিয়েছে। এ নিয়ে নানা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। রামমন্দির, সিএএ কোনো ইস্যুই কার্যত কাজ করেনি। উত্তরপ্রদেশেও ভালো ফলাফল করতে পারেনি বিজেপি। এবার নীতিশ কুমার কী করেন সেটাই দেখার বিষয়।
চন্দ্রবাবু নাইডুর হাত ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে বড় সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। বিজেপি ও পবন কল্যাণের জন সেনা পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে অনেকটাই এগিয়ে যায় টিডিপি। দক্ষিণের এ রাজ্যে ভালো ফল করছে এনডিএ। আর এই এনডিএকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
সূত্রের খবর, চন্দ্রবাবু নাইডু আগামী ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারেন। তিনি ওইদিন শপথ নিতে পারেন।
এদিকে ফলাফল সামনে আসার পরে জগন রেড্ডি কার্যত পরাজয় মেনে নেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজিরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।