আবারও কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবককে গুলি হরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার সারেতে। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিহত যুবকের নাম যুবরাজ গয়াল (২৮)। পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা যুবরাজ ২০১৯ সালে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডায় পড়তে আসেন। পড়াশোনা শেষ করার পর সেখানেই এক কোম্পানিতে সেলস কর্মকর্তা হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে কানাডার নাগরিকত্বও পেয়ে যান যুবরাজ। রয়্যাল কানাডিয়ান পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার (৭ জুন) স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ সারের পুলিশ একটি ফোন পায়। ফোনে জানানো হয়, ব্রিটিশ কলম্বিয়া এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবরাজের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই খুনের নেপথ্যে কী কারণ আছে, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না যুবরাজ। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে যুবরাজকে খুন করা হয়েছে, না কি অন্য কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুবরাজের পরিচিতিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই চার জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন মানবীর বাসরাম, সাহিব বাসরা, হারকিরাত ঝুট্টি এবং কেইলন ফ্রানকোইস। তাদের মধ্যে মানবীর, সাহিব, হারকিরাত— তিন জনই সারের বাসিন্দা। গ্রেফতারকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে কানাডাতেই নিহত হন চিরাগ আন্তিল নামে এক ভারতীয় শিক্ষার্থী। দক্ষিণ ভ্যাঙ্কুভারে গাড়ির ভিতর গুলি করে হত্যা করা হয় ২৪ বছরের যুবককে। কানাডার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রতেও একাধিক ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিগত কয়েক মাসের মধ্যে। চার মাসে দেশটিতে ১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।