ঘোর দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বসে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। সেই আপসেটের পর গতকাল পাকিস্তানের সামনে সুযোগ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের কাজটি সেরে রেখেছিলেন শাহীন-আমির-নাসিম-হারিসরা। তবে বাবর-রিজওয়ানদের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে জয় থেকে ৬ রান দূরেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
এই হারে বিশ্বকাপ ধূসর হয়ে গেছে পাকিস্তানের। টানা দুই হারে কোনো পয়েন্টই অর্জন করতে পারেনি বাবরের দল। তবে একটা ক্ষীণ আশা এখনো বেঁচে আছে, সেজন্য তাদের দরকার হবে অনেক যদি-কিন্তুর সাহায্য।
গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে যেতে প্রথমত নিজেদের পরের দুই ম্যাচেই জিততে হবে পাকিস্তানকে। সেই দুই ম্যাচে জয় পেলে পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে ৪। সেখানে বড় ব্যবধানের জয় দরকার তাদের। কারণ ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে যেতে হলে রানরেটের বড় ভূমিকা থাকবে। বাবর আজমদের তাই কানাডা ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচ জিততে হবে বড় ব্যবধানে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রকে পরের দুই ম্যাচেই হারতে হবে। তাদের ম্যাচ বাকি ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর পাকিস্তানকেও হারিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে স্বাগতিকরা। ভারতের বিপক্ষে শক্তিমত্তায় অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও আয়ারল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখতেই পারে তারা। তবে পাকিস্তান চাইবে আইরিশদের জয়। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে হিসেব হবে রানরেটের।
আয়ারল্যান্ড এবং কানাডা যেন পরের দুই ম্যাচেই জয় না পায়, সেদিকটাও নজরে রাখতে চাইবে পাকিস্তান। কানাডা খেলবে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান। এদের মধ্যে কেবল আইরিশদের এক জয়ই পাকিস্তানের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবে।
এক্ষেত্রে অবশ্য বেশ স্বস্তিতে আছে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারা ম্যাচ জিতে ‘গ্রুপ ‘এ’ তে বর্তমানে সবার ওপরে আছে রোহিত শর্মারা। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। যুক্তরাষ্ট্রও সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। তিনে ২ পয়েন্ট পাওয়া কানাডা। চার এবং পাঁচে থাকা পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড এখনো কোনো পয়েন্টের দেখা পায়নি।