ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ছ’কোটি দিয়ে কিনলেন ৩০০ রুপির গয়না!

এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রদর্শনীতে রুপোর গয়নাটি দেখান চেরিশ। তখন জানতে পারেন যে, গয়নাটি একদমই নকল। মেরে কেটে সর্বোচ্চ ৩০০ রুপি বা সাড়ে তিন ডলার হতে পারে এই গহনার দাম।
  • | ১২ জুন, ২০২৪
ছ’কোটি দিয়ে কিনলেন ৩০০ রুপির গয়না! একটি প্রদর্শনীতে রুপোর গয়নাটি দেখালে জানতে পারেন সেটি নকল

কারুকার্য করা গয়না কেনার শখ রয়েছে মার্কিন তরুণীর। দেশ-বিদেশের যে কোনও জায়গায় ভাল গয়না দেখলেই তা সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শখের টানে ঠকে বসলেন তিনি। কারুকাজ দেখার পর আসল-নকল বিচার না করে গয়না কিনে ফেলেন তরুণী। পরে প্রদর্শনীতে সেই গয়না দেখানোর পর তিনি জানতে পারেন যে, গয়নাটি নকল। রাজস্থানের এক গয়নার দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে নকল গয়না চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্তের নাম গৌরব সোনি।

২০২২ সাল থেকে গৌরবের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় মার্কিন তরুণী চেরিশের। গয়না কিনতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাজস্থানেও যান তিনি। জয়পুরের জহরিবাজারে গৌরবের দোকানে যাওয়ার পর সোনা দিয়ে পালিশ করা রুপোর গয়না পছন্দ হয় চেরিশের। সাত লাখ ২০ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ছ’কোটি রুপি দিয়ে সেই গয়না কিনে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তরুণী।

এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রদর্শনীতে রুপোর গয়নাটি দেখান চেরিশ। তখন জানতে পারেন যে, গয়নাটি একদমই নকল। মেরে কেটে সর্বোচ্চ ৩০০ রুপি বা সাড়ে তিন ডলার হতে পারে এই গহনার দাম। মাত্র ৩০০ রুপি মূল্যের গয়না ছ’কোটি টাকা দিয়ে কিনে ঠকেছেন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আবার জয়পুরে গিয়ে গৌরবের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

নকল গয়না বিক্রির প্রসঙ্গ তুলতে গৌরব তা অস্বীকার করেন। তারপর জয়পুর থানায় গিয়ে গৌরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। এমনকি, মার্কিন দূতাবাসের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। দূতাবাস থেকে জয়পুর পুলিশকে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গৌরব এবং তার বাবা রাজেন্দ্র সোনি দু’জনেই পলাতক। দু’জনের সন্ধানে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে পুলিশ।