ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চন্দ্রবাবুর শপথে অনুপস্থিত নীতিশ

নীতীশ তার দলের জন্য রেলমন্ত্রীর পদ চান। কিন্তু জেডিইউর একমাত্র পূর্ণমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন ওরফে লল্লন সিংহ পেয়েছেন অগুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েতি রাজ এবং মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়।
  • | ১৩ জুন, ২০২৪
চন্দ্রবাবুর শপথে অনুপস্থিত নীতিশ সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে, তা এখন স্পষ্ট

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপি এবং তাদের সহযোগী নেতাদের অনেকেই হাজির ছিলেন। কিন্তু ব্যতিক্রম বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ। বুধবার বিজয়ওয়াড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুর শপথে দেখা যায়নি তাকে।

চন্দ্রবাবুর শপথে নীতিশের অনুপস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের ইঙ্গিত মোদির মন্ত্রিসভায় নীতিশের দল দাবি মতো প্রতিনিধিত্ব পায়নি বলেই চন্দ্রবাবুর শপথ এড়িয়ে গিয়েছেন নীতিশ। আরজেডি মুখপাত্র ইজাজ আহমেদ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমাদের নেতা তেজস্বী যাদব ভোটের আগেই এনডিএ-র অন্দরে মতবিরোধের পূর্বাভাস দিয়েছেন। ওদের শরিকি সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে, তা এখন স্পষ্ট।’’

সূত্রের খবর, নীতিশ এ বার তার দলের জন্য মোদি সরকারে রেলমন্ত্রীর পদ চান। কিন্তু মোদির মন্ত্রিসভায় জেডিইউর একমাত্র পূর্ণমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন ওরফে লল্লন সিংহ পেয়েছেন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েতি রাজ এবং মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়। আর একমাত্র প্রতিমন্ত্রী রামনাথ ঠাকুরের ভাগ্যে পড়েছে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ।

এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়াতেই নীতিশ বুধবার বিজয়ওয়াড়ায় গরহাজির ছিলেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। বিহার কংগ্রেসের মুখপাত্র জ্ঞান রঞ্জন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পদ বণ্টন নিয়ে অসন্তোষের কারণেই অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে মোদির মুখোমুখি হননি নীতিশ।’’