ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাজ্যসভা নিয়ে কঠিন অঙ্কে সামিল দুই জোট

সংসদের উচ্চকক্ষে কাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে আর কাদের হ্রাস–সেদিকে নজর রয়েছে শাসক এবং বিরোধী দুপক্ষেরই। নিজেদের মত করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে উভয়েই।
  • | ১৩ জুন, ২০২৪
রাজ্যসভা নিয়ে কঠিন অঙ্কে সামিল দুই জোট সদ্যই রাজ্যসভায় দশটি আসন ফাঁকা হয়েছে

রাজ্যসভার খালি হওয়া আসন থেকে লাভ-ক্ষতির হিসেব কষছে এনডিএ ও ‘ইনডিয়া’ দুই জোটই। সংসদের উচ্চকক্ষে কাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে আর কাদের হ্রাস–সেদিকে নজর রয়েছে শাসক এবং বিরোধী দুপক্ষেরই। নিজেদের মত করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে উভয়েই।

সদ্যই রাজ্যসভায় দশটি আসন ফাঁকা হয়েছে। রাজ্যসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষের ১০ সদস্য লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে দশটি আসন যে খালি হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিহার, মহারাষ্ট্র ও আসাম থেকে দুটি করে এবং রাজস্থান, ত্রিপুরা, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে একটি করে আসন খালি হয়েছে। যে দশটি আসন ফাঁকা হয়েছে, তার মধ্যে সাতটি ছিল বিজেপির দখলে, ২টি কংগ্রেসের এবং একটি আসন আরজেডি-র দখলে ছিল। খুব শিগগিরই এই আসনগুলির জন্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা হলে আগামিদিনে কংগ্রেসের দুটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবার আসাম থেকে খালি হওয়া দুটি আসনই বিজেপি যে পাবে, তা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ কংগ্রেসের দীপেন্দর সিং হুডা ইতিমধ্যেই সেখানকার রোহতক থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবং রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার কংগ্রেসের সাংসদ কেসি বেণুগোপাল তার নিজের রাজ্য কেরলের আলাপ্পুঝা থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। হরিয়ানা ও রাজস্থান দুই বিধানসভাতেই বর্তমান বিজেপির সরকার থাকার সুবাদে তাদের বিধায়ক সংখ্যাই বেশি রয়েছে। সংখ্যার হিসেবে এই দুই আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে, আসাম থেকে বিজেপির যে দুই রাজ্যসভার সাংসদ, যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ও কামাখ্যা প্রসাদ তাসা লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন, সেই দুটি আসনই বিজেপি সহজেই ধরে রাখতে পারবেন এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আসামে ‘ইনডিয়া’ জোটের পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দেওয়া হলে একটি আসন নিয়ে চাপের মুখে পড়তে হবে বিজেপিকেও। মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল-সহ আরও একজন রাজ্যসভার সাংসদ লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ায়, খালি হওয়া দু’টি আসনও বিজেপির জোটের ঘরেই থাকবে। বিহারের দুটি আসনের মধ্যে আবারও একটি করে আসন আগের মতই আরজেডি ও বিজেপির দখলেই থাকবে। ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে সেখানকার খালি আসনটিও আবারও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লোকসভায় নির্বাচত হওয়ার কারণে খালি হওয়া আসনটিও আবার বিজেপিই পাবে।

এই দশটি আসন ছাড়াও মহারাষ্ট্রে রাজ্যসভার একটি শূন্যপদেও নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেই খালি আসনটি মহা বিকাশ আঘাড়ির দখলে যেতে পারে। পাশাপাশি জুলাই মাসের ১ তারিখে কেরালার তিনটি রাজ্যসভা আসনও এবং জুলাই মাসের মাঝামাঝি চারজন মনোনীত সদস্যের মেয়াদও শেষ হতে চলেছে।