শিনা বোরা হত্যা মামলায় নতুন মোড় এসেছে। যে হাড়গোড় ও দেহাবশেষ শিনার বলে দাবি করা হয়েছিল, তার কোনও সন্ধান নেই। শুক্রবার আদালতকে এমনটাই দাবি করলেন সরকারপক্ষের আইনজীবী।
২০১৫ সালে পুরো ভারত চমকে ওঠে বেসরকারি মিডিয়ার কর্ণধার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে। নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তবে ২০২২ সালে জামিন পান তিনি। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবীদের পক্ষে জানানো হয়, কোনও খোঁজ নেই শিনার হাড় ও দেহাবশেষের দুটি প্যাকেটের।
৭ মে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. জেবা খানকে প্রশ্ন করে সিবিআই। এই জেবা খানই ২০১২ সালে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ের ফরেনসিক পরীক্ষা করেন। তিনিই প্রথম নিশ্চিত করেন উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ ও হাড় কোনও মানুষেরই। তিনি এই মামলার ৯১তম সাক্ষী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দেহাবশেষ ও হাড়ের প্যাকেটগুলো প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেখা যায়, সেগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী তা খোঁজার জন্য সময় চান। অবশেষে এদিন তিনি জানালেন, কোনও খোঁজ মেলেনি ওই দেহাবশেষ ও হাড়ের। সেগুলি ছাড়াই জেবা খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতে।
শিনা বোরা হত্যা মামলা পুরো ভারতকে স্তম্ভিত করে দেয়। নিজের সন্তানকে খুনের অভিযোগ ওঠে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে। প্রথমে শোনা যায়, শিনা ইন্দ্রাণীর বোন। কিন্তু পরে জানা যায়, শিনা ইন্দ্রাণী ও তার প্রথম স্বামী সঞ্জীব খান্নার সন্তান।
২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রাণী। প্রথমে পিটারের কাছে নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দেন ইন্দ্রাণী। পিটারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে নাকি আবার শিনার সম্পর্কও গড়ে ওঠে।
২০১২ সাল থেকে শিনার কোনও খোঁজ পাননি রাহুল। শুধুমাত্র তার ফোনে শিনার পক্ষ থেকে একটি ব্রেকআপ মেসেজ আসে। সেই সময় ইন্দ্রাণী বলেন, শিনা যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছেন। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেফতারির পরে। সে বছরের আগস্ট মাসে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শিনা বোরার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তার পর ছয় বছর আন্ডারট্রায়ালে থাকার পর ২০২২ সালে জামিন পান ইন্দ্রাণী।