এই ম্যাচ জিতলেই নেপালের সামনে বড় সুযোগ ছিল সুপার এইটে যাওয়ার। তবে পারলো না রোহিত পাউডেলের দল। শেষ ওভারে ৮ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ১ রানে হারের বেদনায় পুড়লো তারা।
আজ শনিবার সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টোনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জবাবে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরুর পরও ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে নেপালের ইনিংস।
১১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে।উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৭ রান তুলে নেন কুশাল ভুরতেল ও আসিফ শেখ।১৩ রান করা কুশাল আউট হতেই ব্যাটিং ধ্বস নামে নেপালের ইনিংসে। বিদায় নেন অনিল শাহ (২৭) ও দীপেন্দ্র সিং আইরে।
এরপরই ব্যাটিং ধস শুরু হয়। সহজ ম্যাচ হয়ে ওঠে কঠিন। আসিফও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে একই পথ ধরেন। ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে ওঠে নেপালের লক্ষ্যমাত্রা। শেষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো আইসিসির সহযোগী দেশটিকে।
এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেপাল। প্রোটিয়াদের শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও কুইন্টন ডি কককে বেশিদূর যেতে দেননি আইরে। দলীয় ২২ রানে ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন ডি কক।
এরপর হেনড্রিকসকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন মার্করাম। দেখেশুনে দুজন আগালেও জুটি বড় করতে পারেননি। দুইজনে গড়েন ৪৬ বলে ৪৬ রানের জুটি। ২২ বলে ১৫ রান করে কুশলের শিকার হন মার্করাম। অল্পতেই ফিরেছেন ক্লাসেন।
রিজা হেনড্রিকস একপ্রান্ত আগলে রান করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও ৪৩ রানে থামান আইরে। ইনিংস বড় হয়নি ডেভিড মিলারেরও। শেষ দিকে একাই প্রোটিয়াদের ইনিংসকে টেনেছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি।
নেপালের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন ভুরতেল। তিনটি উইকেট নেন দীপেন্দ্র সিং আইরে।৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইক্কেট পাননি সন্দীপ লামিচানে।