গ্রীষ্মের উত্তাপে সৌদিতে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৬ ডিগ্রিতে। ফলে হজযাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক চলাফেরার জন্য রাস্তায় কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম আরব নিউজ।
রোডস জেনারেল অথোরিটির মুখপাত্র আব্দুল আজিজ আল-ওতাইবি আরব নিউজকে বলেছেন, ‘রাস্তা যখন সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে, তখন এই প্রযুক্তি তাপ শোষণ করে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত শোষণ করবে এই প্রযুক্তি।’
তিনি বলেন, রাস্তা থেকে তাপ নির্গত হতে শুরু করে, যা তাপ দ্বীপের ঘটনা হিসেবে পরিচিত। এটি মোকাবিলা করার জন্য, একটি শীতল উপাদান পবিত্র স্থানগুলোর চারপাশে ফুটপাতে প্রয়োগ করা হচ্ছে, যা অন্যান্য পদার্থের তুলনায় কম সূর্যের রশ্মি শোষণ করে।
আল-ওতাইবি বলেছেন, ‘আমরা যে উপাদানটি তৈরি করেছি তা রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি কার্যকর। যেহেতু এটি সূর্যের রশ্মিকে প্রতিফলিত করে, যা তাপ শোষণ হ্রাস করে রাস্তার তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।’
এটি তাপ বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে, রাস্তা ঠাণ্ডা রাখে এবং পথচারীদের জন্য আনন্দদায়ক করে তোলে। রোড-কুলিং প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ হজযাত্রীর জন্য অবকাঠামো ও সেবা উন্নত করার জন্য সৌদি আরবের চলমান প্রচেষ্টার অংশ।
আল-ওতাইবি বলেন, ‘ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই শীতল উপাদানটি রাস্তার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে সাহায্য করে। যা এই উপাদান ছাড়া রাস্তার তুলনায় ২০ শতাংশ তাপ হ্রাসের সমান।’
মক্কার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সৌদি সরকার হজযাত্রীদের জন্য আরও অতিথিপরায়ণ পরিবেশ ও তাদের যাত্রা যতটা সম্ভব মসৃণ করা যায় এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আল-ওতাইবি বলেন, ‘গত বছর, আমরা হজ মৌসুমে জামারাত করিডোরে প্রথমবারের মতো এই উপাদানের প্রয়োগ পরীক্ষা করেছি এবং এটি সফল হয়।’
এখন মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফা এলাকায় প্রকল্পটির কাজ করা হচ্ছে। আরাফাতের নামিরা মসজিদের কাছে ২৫ হাজার বর্গমিটারে উপাদানটি প্রয়োগ করা হচ্ছে।