কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রতিবছরই হয় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত। এবারও সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।
জানা গেছে, শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শোলাকিয়া ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রেসিডেন্ট ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। পাশাপাশি, ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
আজাদ বলেন, ঈদ্গাহ ময়দানে টুপি, মাস্ক ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু বহন করা যাবে না।
ঈদ জামাতে উপস্থিত মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেছেন, সমগ্র এলাকা দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদস্য, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। ঈদগাহের প্রবেশমুখ ও আশেপাশের এলাকা মেটাল ডিটেক্টর, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও সিসিটিভি ক্যামেরার অধীনে থাকবে। নজরদারীর জন্য পুলিশ বাহিনী ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করবে।
কিশোরগঞ্জে জমিদারী পত্তনের পর ঈসা খাঁর বংশধর দেওয়ান হাইবাত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জ জেলার পূর্ব দিকে নরসুন্দ নদীর তীরে প্রায় সাত একর জায়গা জুড়ে ১৮২৮ সালে এই ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম ঈদ জামাতে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মুসল্লি অংশ নেন, যার কারণে এই মাঠের নাম হয়ে যায় ‘সোয়া লাখি মাঠ’ বা শোলাকিয়া মাঠ। ১৮২৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম ঈদ জামাতের পর এ নিয়ে ১৯৭তম বারের মতো শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে শোলাকিয়া মাঠে ২৬৫টি কাতারে প্রায় ২ লাখ মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেন।
