ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সিকিমে আবারও ধস, বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের তরাই এবং ডুয়ার্সের সমতলেও। এতে এলাকার প্রতিটি নদীই ফুলেফেঁপে উঠেছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ।
  • | ১৬ জুন, ২০২৪
সিকিমে আবারও ধস, বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক নতুন করে ধসের পর সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন

সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের উত্তরাংশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সিকিমে এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। একইভাবে বৃষ্টি হচ্ছে দার্জিলিং, কালিম্পংসহ তরাই এবং ডুয়ার্সে। এতে সিকিমের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটে।

নতুন করে ধসের পর সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে সিকিমের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তবে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেই জাতীয় সড়ক আবার খুলে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। শনিবার (১৫ জুন) গভীর রাত থেকে চলছে বৃষ্টি। কালিম্পং জেলার লিখুভিড় থেকে বন্ধ ছিল যান চলাচল। রোববার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় নতুন করে ধস নামে।

সেবক পেরিয়ে কালিঝোরা-লাটপানচার রোডের অবস্থা বেশ খারাপ। শ্বেতিঝোরার কাছে জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে গিয়েছে। রাস্তায় একাংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন পারাপার করে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশের ভিড় কমিয়ে এদিন জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।

অবিরাম বৃষ্টির জেরে কালিঝোরা, রবিঝোরা, ২৭ মাইলসহ একাধিক জায়গায় নতুন করে ধস নেমেছে। সিকিমেও বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই। ফলে, মাঙ্গন থেকে গ্যাংটক এবং মাঙ্গন থেকে সিংথামের রাস্তায় একাধিক জায়গা ইতোমধ্যেই ধসের কবলে পড়েছে।

অন্যদিকে, লাচুংয়ে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে এয়ারলিফটের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, লাচুংয়ে এখনও ১২০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন। ফলে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের তরাই এবং ডুয়ার্সের সমতলেও। এতে এলাকার প্রতিটি নদীই ফুলেফেঁপে উঠেছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ। বর্ষণে শিলিগুড়িতেও জনজীবন বিপন্ন। একাধিক জায়গায় পানি জমে গেছে।

সিকিমের আবহাওয়া দফতরের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানান, আরও কিছু দিন বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের ওপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়ায় এই বিপত্তি বলেই দাবি করেছেন তিনি।