ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ব্র্যান্ড ভ্যালুতে কোহলির ধারেকাছেও নেই শাহরুখ

ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান সেলিব্রেটির খেতাব এখন বিরাট কোহলির। দেশের নামিদামি তারকাদের পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ ব্র্যান্ড ভ্যালুর রেকর্ড গড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
  • | ১৯ জুন, ২০২৪
ব্র্যান্ড ভ্যালুতে কোহলির ধারেকাছেও নেই শাহরুখ বিরাট কোহলি এবং শাহরুখ খান
ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান সেলিব্রেটির খেতাব এখন বিরাট কোহলির। দেশের নামিদামি তারকাদের পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ ব্র্যান্ড ভ্যালুর রেকর্ড গড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। জানা গেছে, তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ২২৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার অর্থ প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। 

২০২২ সালে বিরাটের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ১৭৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ কোহলির ব্র্যান্ড ভ্যালু একলাফে ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘কনসালটেন্সি ফার্ম ক্রোল’ ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী সেলিব্রেটি ব্র্যান্ডের তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে শীর্ষে রয়েছে কোহলি। তার পরেই আছেন রনবীর সিং। এই অভিনেতা ২০৩ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

এ তালিকার তিনে রয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। ২০২৩ সালে দুটি অল টাইম ব্লকবাস্টার দেওয়ার পর ক্রোল'স সেলিব্রিটি ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট ২০২৩ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে ১২০ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শাহরুখ খান। তবে উন্নতি হয়েছে তার। দশম থেকে সোজা ৩ নম্বর স্থান করে নিয়েছেন কিং খান। ২০২০ সালের পর এই প্রথমবার প্রথম পাঁচে জায়গা হল তার। 

বছরে গড়ে পাঁচ থেকে ছয়টি সিনেমা মুক্তি দেওয়া অক্ষয় কুমার আছেন এই তালিকার চতুর্থ স্থানে। ১১১ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে তার। এদিকে, দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও আলিয়া ভাট চতুর্থ থেকে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন। তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ১০১ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন। ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন।

এছাড়া সেরা ১০-এর পরের স্থানগুলো সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, ক্রিকেট ইশ্বর শচিন টেন্ডুলকার, শাহেনশাহ খ্যাত অভিতাভ বচ্চন এবং ভাইজান সালমান খানের। 

উল্লেখ্য, প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট, ডিজিটাল ক্যাম্পেন, ওয়েবসাইটে উপস্থিতির মতো বিষয় থেকে সম্ভাব্য আয়ের নিরিখে এই ধরনের ভ্যালুয়েশন সম্পর্কে ধারণা করা হয়। যদিও মার্চেন্ডাইজিং থেকে আয়ের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে বিবেচিত হয় না। সেলিব্রিটিদের ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বেশি আয় আসে ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকেই আসে।