ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তিন দেশের সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌ-মহড়া

বিশ্বের মোট বাণিজ্যসামগ্রীর প্রায় ২১ শতাংশই এই সমুদ্রপথ দিয়ে পরিবহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে।
  • | ১৯ জুন, ২০২৪
তিন দেশের সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌ-মহড়া নৌ মহড়ার চলাকালীন তোলা ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আরও তিনদেশের নৌবাহিনীর সমন্নয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ যুদ্ধ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের উপর চাপ বাড়াতে দু’দিনের এই যুদ্ধ মহড়ায় মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে এতে আরও অংশ নেয় কানাডা, জাপান এবং ফিলিপাইন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নৌসেনার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে বেইজিং। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চীনের বিরোধও রয়েছে। ফিলিপাইন এবং চীনের বিরোধের অন্যতম কারণ দক্ষিণ চীন সাগরের সেকেন্ড থমাস শোলে দ্বীপকে কেন্দ্র করে।

ফিলিপাইনের পালাওয়ান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই দ্বীপ। ১৯৯৯ সালে ফিলিপাইন নৌবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি জাহাজে অস্থায়ী নৌঘাঁটি বানিয়ে অবস্থান নেয়। ২০১২ সালে ফিলিপাইনের কাছ থেকে স্কারবরো শোলে দ্বীপের দখল নেয় চীনা পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। যা নিয়ে দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট বাণিজ্যসামগ্রীর প্রায় ২১ শতাংশই এই সমুদ্রপথ দিয়ে পরিবহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চীনের সংঘাতের পারদ চড়ছে। এই আবহে চতুর্দেশীয় নৌমহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের পারদ চড়তে পারে বলে মনে করছে সামরিক ও কূটনৈতিক মহলের একাংশ।