হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শুরু হয় হজ। ফলে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব প্রশাসন। যাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩২৩ জনই মিশরীয়। রয়েছেন জর্ডনের বাসিন্দাও। দুই আরব কূটনীতিকের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
একজন কূটনীতিক জানান, মক্কার পার্শ্ববর্তী বৃহত্তম আল-মুয়াইসেম হাসপাতালের মর্গ থেকে হজযাত্রী মৃত্যুর সংখ্যাটি পাওয়া গেছে। মিশরীয়দের বলতে গেলে সবাই তীব্র গরমের কারণে মারা গেছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে জর্ডানের অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন, আম্মান কর্তৃক মঙ্গলবারের আগে দেওয়া এ সংখ্যা ছিল ৪১।
এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত একাধিক দেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে হজযাত্রী মৃতের সংখ্যা ৫৭৭। আল-মুয়াইসেমের মর্গে ৫৫০ জনের মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকেরা। এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রী মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গরমে অসুস্থ হয়ে ২ হাজার জনের বেশি হজযাত্রীর চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
ইসলামি ক্যালেন্ডার মেনে শুক্রবার হজযাত্রার সূচনার কথা ঘোষণা করে সৌদি আরব সরকার। তবে এ বার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। গাজায় যুদ্ধের আবহে অশান্তির সম্ভাবনা এড়াতে হজযাত্রীদের জন্য এ বার একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে সৌদির হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
গত বছর হজ মৌসুমে বিভিন্ন দেশের ২৪০ জন মারা যান। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানায়, সোমবার (১৭ জুন) মক্কার গ্রান্ড মসজিদ এলাকায় তাপমাত্রা ৫১.৮ ডিগ্রি হয়ে যায়। সৌদি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর ১৮ লাখ মানুষ হজে অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ১৬ লাখই বিদেশি নাগরিক।
এত ভিড় এবং গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। দ্রুত তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হিট স্ট্রোকজনিত কারণেই মৃত্যু হচ্ছে বলে সে দেশের হাসপাতালগুলির সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তীব্র গরমের পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার হজযাত্রীদের নানা রকম পরামর্শও দিয়েছে সৌদি আরবের প্রশাসন। হজযাত্রীদের সতর্ক করার জন্য মাইকে ঘোষণাও করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
ঢাকা
| বঙ্গাব্দ
