গত বছরের নভেম্বরে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল আফগানিস্তান। মুম্বাইতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েই দিয়েছিল রশিদ-নবীরা। তবে সেদিন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এক অতিমানবীয় ইনিংস আনন্দ মাটি করে দেয় আফগানদের। মুম্বাইতে না হলেও সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে রচিত হলো ইতিহাস। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহাপরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেল আফগানিস্তান।
আজ রোববার (২৩ জুন) সুপার এইটের গ্রুপ 'টু' এর ম্যাচে অসিদের ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। তাদের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা মিচেল মার্শের দল থেমেছে ৪ বল বাকি থাকতে ১২৭ রানেই!
আরনস ভেলে গ্রাউন্ডে আফগান রূপকথা লেখার আগে ইতিহাস গড়েন প্যাট কামিন্স। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পর এদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করেন এই তারকা পেসার। আন্তর্জাতিক টি২০ ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বোলার পরপর দুই ম্যাচে গড়লেন হ্যাটট্রিকের কীর্তি। কামিন্স ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম তোলার আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা আফগানিস্তান উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলে ১১৮ রান। ৬০ রান করে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফিরলে ভাঙে এ জুটি। তিনি ফেরার পর শেষ ৪ ওভার অস্বস্তিরই ছিল আফগানদের। সেট ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরানও ৫১ রান করে ফিরলে এই সময়ে মাত্র ৩০ রানই করতে পারে দলটি।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও ছিল বাজে। ৩২ রানেই টপ অর্ডার হারিয়ে বসে তারা। এদিনও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাই ঢাল হয়ে দাঁড়ান ম্যাক্সওয়েল। দারুণ সব শটে তুলে নেন ফিফটিও। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি তার। ৫৯ রানে তিনি ফেরেন গুলবাদিন নাইবকে উইকেট দিয়ে। এরপর নাইব ফেরার আরও তিন অসি ব্যাটারকে। গুঁড়িয়ে দেন অসিদের জয়ের স্বপ্নও।
বল হাতে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের কারিগর নাইবই হয়েছেন ম্যাচসেরা। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং, ম্যাচসেরা হওয়া তো শুধু নাইবকেই মানায়, তাই নয় কী!