পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের আট দিন পর অন্যনা ছাত্রাবাস থেকে তপু নামের ১৪ বছরের এক শিশু শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৫ জুন শনিবার বিকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
শনিবার বিকালে ঈশ্বরদী শহরের মশুড়িয়া পাড়া অন্যনা ছাত্রবাসের তিন তলার রুম থেকে ট্রাংকে ভর্তি টুকরো টুকরো করা লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তপু ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মশুড়িয়া পাড়া মহল্লার আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে ট্রাংকে ভরে রাখা হয়েছিল। ফোনকলের সূত্র ধরে তিন জনকে আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ১৫ জুন সকাল থেকে তপু বাড়িতে ছিল। এরপর বিকাল ৩টা থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরে তপুর মুঠোফোন থেকে তার বাবা কাশেমকে মুঠোফোনে কল দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে তিনি বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ মুঠোফোন নম্বরটি শনাক্ত করার খোঁজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তপুর বাবা তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে।
এ দিকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্যনা ছাত্রবাসের তিন তলা থেকে ট্রাংকে ভর্তি লাশ উদ্ধার করা হয়।
পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, বিকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ট্রাংকের মধ্যে লাশটি খণ্ড-বিখণ্ড করা দেখতে পায়। তবে অচিরেই আসামিদের আটক করা সম্ভব হবে।