ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জামিনের জন্য এ বার সুপ্রিম কোর্টে কেজরি

বৃহস্পতিবার কেজরির স্থায়ী জামিনের মঞ্জুর হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। শুক্রবার ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধানের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাই কোর্ট।
  • | ২৩ জুন, ২০২৪
জামিনের জন্য এ বার সুপ্রিম কোর্টে কেজরি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

জেলমুক্তি স্থগিত রেখেছে দিল্লি হাই কোর্ট। এ বার জামিন নিয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রোববার (২৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টে কেজরির বক্তব্য, সোমবারই তার জামিনের আর্জি শোনা হোক। আপ প্রধান কেজরি সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র জমা দিয়ে দাবি করেছেন, যে ভাবে তার জামিন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, তা দেশের আইন ব্যবস্থার পরিপন্থী।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করে ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ইডি কেজরির জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে। যা গ্রাহ্য হয়নি। বিচারক ন্যায় বিন্দু কেজরিকে জামিন দেন।

শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরির জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাই কোর্ট। শুক্রবার হাই কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ, তত দিন পর্যন্ত তিহার জেলে থাকতে হবে।

আবগারি মামলায় ২১ মার্চ কেজরিকে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পরে লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়ে। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি জেলে ফিরে যান। বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির প্রধানের স্থায়ী জামিনের মঞ্জুর হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।

ইডির আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। অথচ সেগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। অন্য দিকে, কেজরির আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তার মক্কেলের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।