ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি নারীদের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার হিড়িক

১৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নারী এখন ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিমতীরে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক। এ ছাড়া ১০ হাজার নারী বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণে নিবন্ধিত রয়েছে।
  • | ২৩ জুন, ২০২৪
ইসরায়েলি নারীদের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার হিড়িক শুটিং রেঞ্জে এক ইসরায়েলি তরুণী

ইসরায়েলি নারীদের মধ্যে বন্দুক কেনার সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। নারীবাদী দলগুলো এ পরিস্থিতির সমালোচনা করছে। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ হামলার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ইসরায়েলের নারীরা।  

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে বন্দুক কেনার জন্য নারীদের কাছ থেকে ৪২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১৮ হাজার আবেদনে সম্মতি দেয়া হয়েছে। এ সংখ্যা যুদ্ধের আগে নারীদের হাতে থাকা লাইসেন্সের সংখ্যার চেয়ে তিন গুণ বেশি। খবর আরব নিউজের।

ইসরায়েলের ডানপন্থী সরকার ও উগ্র ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের অধীনে দেশটির বন্দুক আইন শিথিল করার মাধ্যমে এই উত্থান হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ১৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নারী এখন ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিমতীরে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক। এ ছাড়া ১০ হাজার নারী বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণে নিবন্ধিত রয়েছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিমোর গোনেন অ্যারিয়েলের পশ্চি তীরের বসতিতে শুটিং রেঞ্জে অস্ত্র পরিচালনার ক্লাস চলে। তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। কখনো অস্ত্র কেনার কথা ভাবিনি। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে এখন ভাবতে হচ্ছে। ইসরায়েলে অস্ত্রের মালিকানার যোগ্যতার মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে ১৮ বছরের বেশি বয়সের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া, হিব্রু ভাষার ওপর সাধারণ দখল এবং চিকিৎসা ছাড়পত্র।

এদিকে সাধারণ ইসরায়েলিদের হাতে মারাত্মক অস্ত্র দেওয়ার জন্য সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছে। নারীবাদী কর্মীদের প্রতিষ্ঠিত দ্য গান ফ্রি কিচেন টেবিল কোয়ালিশন বেসামরিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার নিন্দা করেছে। ১৮টি সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, বেসামরিক জায়গায় অস্ত্রের বৃদ্ধি নারীদেরকে সহিংসতা ও হত্যার মানসিকতার দিকে পরিচালিত করবে। রাষ্ট্রের বোঝা উচিত, ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তা দেয়া তার দায়িত্ব।