ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কেন স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে নির্মাতাদের অভিযোগ

একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় নির্মাতা ও প্রযোজকদের। সিনেমা নির্মাণের শেষে সেই চ্যালেঞ্জ আরও বড় আকারে দেখা দেয় ।
  • | ০১ মে, ২০২৪
কেন স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে নির্মাতাদের অভিযোগ পরিচালক হিমেল আশরাফ, গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও মিশুক মনি

একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় নির্মাতা ও প্রযোজকদের। সিনেমা নির্মাণের শেষে সেই চ্যালেঞ্জ আরও বড় আকারে দেখা দেয় কেননা সিনেমা প্রদর্শন নিয়ে নানা সময়ই নানা বাধা-বিপত্তিতে পড়তে হয় তাদের।


প্রদর্শনের জন্য সঠিক হল বা শো না পেলে অকালমৃত্যু ঘটে অনেক নতুন চলচ্চিত্রের। মহান মে দিবসে (১ মে) ছবি প্রদর্শন নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ঈদে মুক্তি পাওয়া তিন ছবির নির্মাতা ।


গত ঈদে ১১টি ছবির মধ্যে ৫ ছবির ফলাফল বেশ ভালো। ঈদের তিন সপ্তাহ পরেও নির্মাতদের মুখে সেই শান্তির হাসি লক্ষনীয়। এমন সময়ে গত ঈদের অন্যতম সফল তিন সিনেমার (রাজকুমার, দেয়ালের দেশ ও কাজলরেখা) নির্মাতার পক্ষ থেকে উঠেছে কারণ ছাড়াই ‘হাউজফুল’ ছবি নামিয়ে দেয়া হয়েছে। 



তাদের আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়ায় একটাই অভিযোগ- ৩ মে থেকে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স ঈদের সবগুলো সিনেমা নামিয়ে দিচ্ছে তাদের শো-সিডিউল থেকে। বিনিময়ে তুলছে বিদেশি ছবি। প্রমাণপত্র হিসেবে প্রত্যেকেই তাদের ফেসবুক পেইজে দিয়েছেন ১ মে’র অনলাইন টিকিটের প্রায় ‘হাউজফুল’ স্ক্রিনশট।


রাজকুমার’ নির্মাতা হিমেল আশরাফ বুধবার (১ মে) দুপুরে এ প্রসঙ্গে বলেন, ঠিক গত সপ্তাহে টিকিট বিক্রিতে ১ নাম্বারে ছিল যেই সিনেমা, সেই সিনেমার কোনও শো পরের সপ্তাহে নেই, ১টা শো-ও না! ঈদের সবগুলো বাংলা সিনেমা উধাও হয়ে গেল! প্রতিদিন ৫০টার ওপরে শো স্টার সিনেপ্লেক্সের। 


এর মধ্যে ১টা শো পাওয়ার যোগ্যতা নেই ঈদের কোনও সিনেমার? অথচ আজকে সন্ধ্যার ‘রাজকুমার’ ও ‘কাজলরেখা’র শোর টিকিট অনলাইনে চেক করে দেখেন, ৬০% অলরেডি সোল্ড আউট। এখনও ৪ ঘণ্টা বাকী! আমি আজকে সন্ধ্যার শো স্ক্রিনশট দিলাম যেখানে রাজকুমারের ৮৫% টিকিট সোল্ড আউট।


আগামী শুক্রবার (৩ মে) থেকে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ৬টা বিদেশি সিনেমা চলবে, যেখানে বাংলা সিনেমা চলবে ১টা। ১৬টা শো বিদেশী সিনেমার, ৪টা শো বাংলা সিনেমার! বাংলাদেশের সিনেমা হল, বাংলাদেশের মানুষই দর্শক, বাংলা সিনেমার দর্শক থাকার পরেও বাংলা সিনেমা নাই! এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে অনেক পথ বাকি।