প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে দেশ বিক্রি করে না, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে না। দেশকে রক্ষা করেই সবসময় রাজনীতি করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আমি মনে করি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ সফর সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।
এসময় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ফলে দেশের মানুষ বেশি লাভবান হচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ভারতের সহযোগিতায়। গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন ও বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা এবং পানি সংরক্ষণের প্রকল্পে ভারতের সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু হবে। এছাড়া গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। এতে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ই-ভিসা চালু হবে এবং রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে মুমূর্ষু রোগীদের ভিসা আগের চেয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা যাবে।
এবারে সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে এবং তিনটি নবায়িত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি রূপকল্প ঘোষণা স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে ভবিষ্যতের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ১৩টি যৌথ কার্যক্রমের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেই দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে তাই তাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিগত ১৫ বছরে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, যার সুফল ভোগ করছে দুদেশের জনগণ। বিশেষ করে ২০২৩ সালে দুদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরে ভারতের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল নবনির্বাচিত দুটি সরকার কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে একটি রূপকল্প প্রণয়ন। যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।