গাজা যুদ্ধের মধ্যেও গ্রিসের মতো তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন অব্যাহত রয়েছে। এমন সময় এ খবর প্রকাশিত হলো যখন তুরস্ক কয়েক মাস আগে ঘোষণা করে, দেশটি গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অপরাধযজ্ঞের প্রতিবাদে তেলআবিবের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
মিডল ইস্ট আইয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্টাটেস্কিকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইসরায়েল ২০২৪ সালের মে মাসে তুরস্ক থেকে ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। তবে গত বছরের একই মাসের তুলনায় এই আমদানি কমেছে ৬৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের মে মাসে ইসরায়েল তুরস্ক থেকে ২৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে।
যে দু’জন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যকার এই লেনদেন সম্পন্ন করেন তারা মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন, চলতি বছরের মে মাসের গোড়ার দিক থেকে গ্রিসের পাশাপাশি ইসরাইলের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মাধ্যমে তুর্কি পণ্য ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে। এমন সময় এই দাবি প্রকাশ্যে এলো- যখন আঙ্কারা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
তুরস্ক হচ্ছে বিশ্বের প্রথম কোনো মুসলিম দেশ যেটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সার্বিক সহযোগিতার পথ উন্মোচন করেছে। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় ১৯৪৯ সালে। পরবর্তীতে তেলআবিব ও আঙ্কারার মধ্যে সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এমনকি সামরিক সহযোগিতাও গড়ে ওঠে।
এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান হলেন প্রথম কোনো মুসলিম নেতা যিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইহুদিবাদীদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার প্রধান কারিগর থিওডোর হার্জেল এর সমাধি পরিদর্শন করেছেন।