গাজায় দুর্ভিক্ষের প্রবল ঝুঁকি বিরাজ করছে এবং সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি চরম বিপর্যয়ের মুখে আছে। ইসরায়েলের হামলা চলতে থাকলে এবং মানবিক ত্রাণ বাধাগ্রস্ত হতে থাকলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে না। জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ‘আইপিসি’র এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
‘দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি)- এর প্রতিবেদন বলছে, মার্চের পর থেকে উত্তর গাজায় খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ সরবরাহ বেড়েছে। পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যসেবাও গতি পেয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকার কারণে গাজার দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে খাবার সরবরাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। মে মাসের শুরুতে ইসরায়েল রাফায় স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে সেখানে পরিস্থিতির এই অবনতি হয়েছে। নগরীটি থেকে বাস্তুচ্যুতও হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।
এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ‘আইপিসি’র প্রতিবেদনে গাজায় মানুষের অনাহারে থাকার স্পষ্ট চিত্র উঠে এসেছে এবং সেখানে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ কতটা জরুরি তা এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে। গাজার এই পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়া, চলমান অভিযান এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়াকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।