রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে ইউক্রেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার হামলার পরেই ইউক্রেন ইইউতে যোগদানের আবেদন করে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইইউ কমিশন ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিন দেশ লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়া আগেই ইইউতে যোগ দিয়েছে। এবার আরও দুটি দেশের আবেদনের ভিত্তিতে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জর্জিয়াও প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিগাল বলেন, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে চলেছে।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই সিদ্ধান্তকে ইউক্রেন, মলদোভা ও ইইউর মানুষের জন্য অত্যন্ত ভালো খবর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য ইইউর মানদণ্ডে পৌঁছাতে ইউক্রেনকে এখনো অনেক সংস্কার করতে হবে। কঠিন সেই প্রক্রিয়ার সাফল্যের ওপরই পূর্ণ সদস্যপদ নির্ভর করবে।
তা ছাড়া হাঙ্গেরির মতো রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ দেশ ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার বিরোধিতা করতে পারে। তবে যুদ্ধের মাঝেও ইউক্রেন বেশ কিছু ‘সাহসী’ সংস্কার শুরু করে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী উপপ্রধানমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশনা ২০৩০ সালের মধ্যে সব পূর্বশর্ত পূরণ করে ইইউর সদস্য হওয়ার অঙ্গীকার করেন।