হিমাচল প্রদেশের বেশির ভাগ অংশেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। পাঁচ দিন দেরিতে বর্ষা ঢুকলেও ভারী বৃষ্টির জেরে রাজধানী শিমলার একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধসের কারণে বহু গাড়ি তার নীচে চাপা পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সেই সব গাড়ি উদ্ধার এবং ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে।
শিমলা ছাড়াও মালিয়ানা, চামিয়ানা, ভট্টকুফার, মিনি কুপতাধারে সবচেয়ে বেশি ধস নেমেছে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে কোনও কোনও জায়গায় হড়পা বানেরও সৃষ্টি হয়েছে। সুরালাতে একটি নির্মীয়মাণ রাস্তা ধসের নীচে তলিয়ে গেছে। ভট্টকুফারে পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির উপর পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিনি কুপতাধারে পানির স্রোত বইছে।
এ ছাড়াও ঈদগাহ কলোনিতে ধসের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্যাগগ রোডে ধস নামায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জুঙ্গা রোডে স্থানীয়দের ঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। খালিনিতেও ধসের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জুব্বারবাট্টিতে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে, শিমলায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৪ মিলিমিটার। বৃষ্টির ফলে গিরি নদীর পানির স্তর বেড়েছে। আগামী সাত দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রাজ্যের বাকি অংশেও আগামী দু’দিনে বর্ষা ঢুকবে বলে জানিয়েছে তারা।
২২ জুন হিমাচলে বর্ষা শুহু হওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন পরে বর্ষা শুরু হয়েছে হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্যে। হিমাচলে ২৬ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার। এ মাসে এখনও পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি। ১২টি জেলাতেও ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টির। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কিন্নৌর এবং লাহুল-স্পিটি ছাড়া রাজ্যে ১০-১২টি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।