ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অভিবাসনে এশিয়ায় রেকর্ড গড়ল ফিলিপাইন

ফিলিপাইন থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমানো শ্রমিকের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী। তাদের বেশিরভাগই গৃহকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নার্স এবং পরিচর্যাকারী হিসেবে কাজ করেন।
  • | ২৮ জুন, ২০২৪
অভিবাসনে এশিয়ায় রেকর্ড গড়ল ফিলিপাইন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অভিবাসীদের বেশিরভাগই জড়িত নির্মাণকাজে

অভিবাসন তথা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে এশিয়া। ২০২৩ সালে এশিয়ার রেকর্ড ৬৯ লাখ নাগরিক কাজের খোঁজে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আর এই রেকর্ডের পেছনে থাকা দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ইনস্টিটিউট (এডিবিআই), অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সংকলিত এই তথ্যগুলো আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ব্যাংককে একটি গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

অভিবাসী পাঠানোয় সবচেয়ে এগিয়ে ফিলিপাইন। ২০২৩ সালে দেশটির ২৩ লাখ মানুষ অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৯৩ শতাংশ বেশি। তাছাড়া এশিয়া থেকে মোট অভিবাসীর এক-তৃতীয়াংশই ফিলিপাইনের। ১৩ লাখ অভিবাসী পাঠিয়ে এর পরের অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তান। দেশটি থেকে অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার।

ফিলিপাইন থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমানো শ্রমিকের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী। তাদের বেশিরভাগই গৃহকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নার্স এবং পরিচর্যাকারী হিসেবে কাজ করেন। ফিলিপিনোদের শীর্ষ গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, হংকং ও সিঙ্গাপুর। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অভিবাসীদের বেশিরভাগই নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত।

অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেকই উপসাগরীয় দেশগুলিতে গেছে। প্রায় ১৬ লাখ কর্মী গ্রহণ করে অভিবাসীদের গন্তব্যের শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। এরপরই আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্সও ২০২৩ সালে রেকর্ড গড়ে প্রায় ৩৭ হাজার ১৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা মোট বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের ৪৩ শতাংশ।