ঢাকা | বঙ্গাব্দ

৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে দেশের ছয় বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস মিলেছে।
  • | ২৯ জুন, ২০২৪
৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস ফাইল ছবি

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে দেশের ছয় বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস মিলেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী তিন দিন এমন বৃষ্টি চলতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


গত ৩০ মে দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। বিশেষ করে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে টানা তাপপ্রবাহ চলে। এর মধ্যে অনেক স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হলেও দেশজুড়ে টানা বৃষ্টি আবার হয়নি।


বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, শনিবার বরিশাল ও খুলনা ছাড়া বাকি ছয় বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর এই ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশংকার কথাও বলেছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয়। তাই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এটি জুলাই মাসের প্রথম কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।


উল্লেখ্য, বৃষ্টি ১ থেকে ১০ মিলিমিটার হলে সেটিকে হালকা বৃষ্টি বলা হয়। আর ১১ থেকে ২২ মিলিমিটারের মধ্যে বৃষ্টি হলে তা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি বলা হয় পরিমাণ ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার হলে। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটারের বৃষ্টি হচ্ছে ভারী বৃষ্টি। যদি ৮৮ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, তবে তা অতি ভারী বৃষ্টি হিসেবে ধরা হয়।