ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন হামাস নেতা ওসামা হামদান। রোববার (৩০ জুন) লেবাননে এক সংবাদ সম্মেলনে ওসামা হামদান বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের আলোচনায় এখনো পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে কোনো অগ্রগতি হয়নি। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার ও অর্থবহ বন্দিবিনিময় সমঝোতা নিশ্চিত করবে— এমন যেকোনো প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে নিতে প্রস্তুত হামাস।
এছাড়া স্বাধীনতাকামী এ সংগঠনের হাতে জিম্মি থাকা বাকিদের মুক্তির বিষয়টিও আলোর মুখ দেখেনি। এই জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে শনিবার ইসরায়েলে বিক্ষোভ করেছেন লাখো মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় নিয়ে জুন মাসে একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পরিকল্পনায় প্রাথমিকভাবে গাজায় ছয় মাসের যুদ্ধবিরতি, উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া ও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তিসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়।
৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, এ পর্যন্ত ১৫ হাজার হামাস যোদ্ধাকে তারা হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি সেনারা প্রায় ৯ মাস ধরে হামাসকে নির্মূলের জন্য বিমান হামলার পাশাপাশি গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে আসলেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংস্থাটিকে তারা টলাতে পারছে না। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।