ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভারতে বন্যায় ৩৪ জনের মৃত্যু

আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বন্যাপ্লাবিত জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
  • | ০৩ জুলাই, ২০২৪
ভারতে বন্যায় ৩৪ জনের মৃত্যু আসামের বহু এলাকায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে

ভারতের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত দুই রাজ্য- উত্তর প্রদেশ ও আসামের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্যে আসামের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।

আসামের বিশ্বনাথ, কাছাড়া, চড়াইদেহ, দারং, চিরাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাটা, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, শিবসাগর, সোনিতপুর, মরিগাঁও, নগাঁও, মাজুলি, করিমগঞ্জ, তামুলপুর, তিনসুকিয়া, নলবাড়ি জেলার অবস্থা শোচনীয়। আসাম রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বন্যাপ্লাবিত জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৭২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের বহু এলাকায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এখানে বৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনায় একদিনে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

আসাম রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৬ জুন থেকে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে, এতে ১৯ জেলার ছয় লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং আট হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমবার রাজ্যটিতে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্বে এক শিংওয়ালা গণ্ডারের বৃহত্তম বাসস্থান আসামের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানও বন্যায় ডুবে গেছে। এই বনে প্রায় ২২০০টি  গণ্ডারের বাস, এটি বিশ্বব্যাপী এ প্রজাতির মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ২৩৩টি আশ্রয় শিবিরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্লাবিত হয়েছে। এ বনের চারটি হরিণ ডুবে মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এএনআইয়ের ভিডিও ফুটেজগুলোতে ডুবে যাওয়া ফসলের মাঠ ও সড়ক দেখা গেছে। লোকজন তাদের ডুবে যাওয়া বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ও অন্যান্য মূল্যাবান জিনিস সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। আসামের প্রতিবেশী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের রজধানী ইটানগরে অবিরাম বর্ষণের কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আগামী তিন দিন ওই অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে দেশটির পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে তারা।