ঢাকা | বঙ্গাব্দ

৯টি প্রকল্পে জাইকার ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা সহায়তা

জাইকার সহায়তায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
  • | ০৩ জুলাই, ২০২৪
৯টি প্রকল্পে জাইকার ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা সহায়তা বৈঠক করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং জাইকা'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই’র

জাইকার সহায়তায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।


গত বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে জাইকা'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই’র সঙ্গে বৈঠককালে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাইকা বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাইকার সহায়তায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এজুলোর আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। চলমান অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের ২২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। প্রকল্পগুলোতে সর্বমোট বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।


মন্ত্রী জানান, জাইকার সহায়তায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি আরও ৪টি প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পগুলো হলো উপজেলা প্রশাসন এবং উন্নয়ন প্রকল্প-২ ( ইউজিডিপি-২), প্রস্তাবিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পানি সরবরাহ প্রকল্প, চট্টগ্রাম ওয়াসার অধীন চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাসন প্রকল্প ক্যাচমেন্ট-২ ও ৪ এবং হাওর বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়)। প্রস্তাবিত ৪টি প্রকল্পে জাইকার সহায়তার পরিমাণ ২০ হাজার ৫৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা হতে পারে।

 

তিনি আরও জানান, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জাইকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ কোরে আসছে। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাইকা সহায়তা করছে। আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে এই সহায়তা আরও বৃদ্ধি পাবে।


এ সময় জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই বলেন,

'বাংলাদেশের সাথে জাইকার যে সকল প্রকল্প চলমান রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে। এরইমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে, নতুন কিছু প্রকল্পের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনেক এগিয়েছে, আশা করছি এই ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে চূড়ান্তভাবে বের হয়ে আসবে'।

 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, জাইকার সাউথ এশিয়া বিভাগের উপ মহাপরিচালক সাকুডু শুনসুকে, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তুমোহিদেসহ জাইকা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ।