চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলই ছিল হট ফেভারিট। তাইতো স্পেন-জার্মানির ম্যাচের দিকেই চোখ ছিল সবার। একটি ম্যাচে আর কিই বা দেখতে চান, যা যা দরকার সবকিছুই ছিল এই ম্যাচে। টানটান উত্তেজনা, জমজমাট লড়াই, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ কী ছিল না এই ম্যাচে!
খেলার প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পায় স্পেন। খেলার ৫১ মিনিটে দলকে লিড এনে দেয় দানি ওলমো। সেই লিড তারা ধরে রেখেছিল একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তবে ৮৯ মিনিটে ভির্টজের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি।
খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় ১-১ সমতায়। পরবর্তীতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও চলে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধও শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পচ্ছিল না কোনো দল। অতিরিক্ত সময়ের তখন ১১৯ মিনিট চলছিলো। যখন মোটামুটি ধরেই নেওয়া হয়েছিলো যে খেলা অতিরিক্ত সময় গড়িয়ে পেনাল্টিতে গড়াবে ঠিক তখনি দানি অলমোর এক অসাধারণ ক্রসে হেড দিয়ে জালে বল জড়ান মিকেল মোরেনো। আর তাতেই ২-১ গোলে জার্মানদের পরাজয় নিশ্চিত করে স্পেন।
অবশেষে জার্মানির স্টুটগার্ডে স্বাগতিক কোনো দলকে নকআউট ম্যাচে না হারানোর বেদনা অবশেষে ঘুচলো লা ফুয়েন্তের শিষ্যদের।
প্রথমার্ধে কোনও গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৫২তম মিনিটে দলের হয়ে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ওলমো। ডি-বক্সের ভেতর থেকে লামিন ইয়ামালের বাড়ানো বল ডান পায়ের জোরালো শটে জালে জড়ান ওলমো। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। ৮২তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন কাই হাভার্টজ। গোলরক্ষক শট নিয়ে পোস্ট ছেড়ে একটু এগিয়ে এসেছিলেন। বল পেয়ে কাই হাভার্টজ একটু এগিয়ে গিয়ে গোলকিপারের ওপর দিয়ে পোস্টে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তবে বল চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৪ মিনিট পর টনি ক্রুসের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে কাই হাভার্টজের হেড ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক উনাই সিমন। তার ঠিক ৩ মিনিট পরেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় জার্মানি। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে ৮৯ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান উইয়ার্টজ। বক্সের মধ্য থেকে জসুয়া কিমিচের হেড সরাসরি চলে যায় ভির্টজের পায়ে। দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করলে সমতায় ফেরে জার্মানি।
৯০ মিনিটের লড়াই শেষে স্কোরলাইন ১-১। পরবর্তীতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বারবার আক্রমণে উঠছিল জার্মানি। একের পর এক আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যায় ভির্টজ আর জামাল মুসিয়ালারা। তবে সুযোগ বুঝে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ২-১ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।