এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজ আসন সাউথ ওয়েস্ট নরফোকে হেরেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। টেরি জার্মির কাছে ৬৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি। লিজের হার ছিল কনজারভেটিভ পার্টির জন্য এটি অন্যতম বড় পরাজয়। কেননা ১৯৬৪ সাল থেকে এই আসন কনজারভেটিভদের দখলে ছিল।
সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে ব্রিটেনের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন ১১ হাজার ২১৭ ভোট। অন্যদিকে লেবার পার্টির প্রার্থী টেরি জার্মি পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৪৭ ভোট। কনজারভেটিভ দল থেকে হেরে যাওয়া আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম পেনি মর্ডান্ট। জয়ী দলের ভবিষ্যৎ নেত্রী হিসেবে তার নাম উঠে এলেও এক হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
পোর্টসমাউথ নর্থ আসনে ১৩,৭১৫ ভোট পেয়েছিলেন পেনি। এ বছর আগাম নির্বাচনে ৪১২ আসনে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত করেছে ১৪ বছর পিছিয়ে থাকা লেবার পার্টি। অন্যদিকে ভরাডুবি হয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির। ঋষি সুনাক ছাড়া দলটির হেভিওয়েট বা শক্তিশালী প্রার্থীদের বেশিরভাগই হেরেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব গ্রান্ট শ্যাপসও ওয়েলউইন হ্যাটফিল্ডে লেবার পার্টির কাছে হেরে গেছেন। তিনি এই নির্বাচনি এলাকায় ২০০৫ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। লেবার পার্টি ১৯,৮৭৭ ভোট পেয়ে আসনটি জিতেছে।
অন্যদিকে শ্যাপস মাত্র ১৬,০০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। শ্যাপস গত ১৪ বছরে চারটি ভিন্ন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছয়টি মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এর আগে বরিস জনসনের অধীনে পরিবহণ সচিব, ডেভিড ক্যামেরনের অধীনে টোরি চেয়ারম্যান এবং মিস ট্রাসের মেয়াদে স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন। তাকে পার্টির নেতা হিসেবে ঋষি সুনাকের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরিদের একজন হিসাবে ধরা হতো।
এছাড়াও কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চকও লেবার পার্টির প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান হেরেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিব-ডেম) প্রার্থীর কাছে। এছাড়াও অভিবাসনমন্ত্রী টম পার্সগ্লোভ লেবার পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন।