ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বাইডেনের সাক্ষাৎকারে ‘মন গলেনি’ তার দলের

জানুয়ারিতে পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ কেভিন কানার্ড হোয়াইট হাউজে বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও কনরের সঙ্গে দেখা করেন। খবরটি গণমাধ্যমে আসার পরই জল্পনা শুরু হয়।
  • | ০৮ জুলাই, ২০২৪
বাইডেনের সাক্ষাৎকারে ‘মন গলেনি’ তার দলের এবিসি নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন

প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে নড়বড়ে উপস্থাপনার পর নানাভাবে চেষ্টা করেও নিজ দলের (ডেমোক্র্যাট) নেতাকর্মীদের উদ্বেগ কমাতে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

৮১ বছর বয়সী বাইডেন তার দলের হতাশ নেতা ও সমর্থকদের উদ্বেগ কমাতে শুক্রবার (৫জুলাই) রাতে একটি সাক্ষাৎকার দেন। কিন্তু এতে দলের নেতাদের আস্থা ফিরেছে বলে মনে হচ্ছে না। ডেমোক্রেটিক পার্টির একের পর এক নেতা প্রকাশ্যে তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সরে যেতে বলছেন তাকে।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট তিনি পার্কিনসন রোগে ভুগছেন কিনা তা নিয়েও জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ কেভিন কানার্ড হোয়াইট হাউজে বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও কনরের সঙ্গে দেখা করেন। দুইজনের মধ্যে কি কথা হয় তা জানা যায়নি। তবে খবরটি গণমাধ্যমে আসার পরই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকার বাইডেন প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে তার বিব্রতকর পারফরম্যান্স আড়াল করতে পারেনি। বরং তাকে ঘিরে সমর্থক, ডেমোক্রেট নেতা ও অর্থদাতাদের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।

২২ মিনিটের এই সাক্ষাৎকারে বেশির ভাগ সময় বাইডেনের বয়স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তার বয়স দেশ পরিচালনায় কোনো বাধা তৈরি করবে না বলে বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন। সাক্ষাৎকারে বাইডেন তার বিতর্কের পারফরম্যান্সকে কেবল ‘একটি বাজে ঘটনা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেবল ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বর’ ছাড়া নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কেউ সরাতে পারবে না।

তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন দলের একাধিক নেতা। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের আরেক ডেমোক্র্যাট সদস্য মিনেসোটার ক্রেগ শনিবার বাইডেনকে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা বাইডেনকে সরে যেতে বললেন।

একাধিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। কিছু জরিপে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পাশাপাশি সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমার আভাসও মিলেছে। প্রতিনিধি পরিষদে আসন হারানোর বিষয়েও উদ্বেগ ফুটে উঠেছে।