ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে এগিয়ে ছিল কট্টর ডানপন্থীরা। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ভোটে সেই অগ্রগতি ধরে রাখতে পারেনি তারা। কেউ এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও; প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই)।
রোববার (৭ জুলাই) দেশটির দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষে বুথফেরত জরিপে এমনটা জানা গেছে বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট টুগেদার অ্যালায়েন্স দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি।
বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট এবং উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালির নেতারা। অপর দিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাম জোটের নেতারা।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দেওয়া বুথফেরত জরিপের তথ্যমতে— ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে ১৭২ থেকে ২১৫টি আসন পেতে চলেছে বাম জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেতে যাচ্ছে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট টুগেদার অ্যালায়েন্স। এই জোটটি পেতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০টি আসন। আর ১১৫ থেকে ১৫৫টি আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারে ন্যাশনাল র্যালি।
ফ্রান্সে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। সেক্ষেত্রে বাম জোটকে সরকার গঠন করতে হলে অন্যদের সমর্থন নিতে হবে, ফরে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের সম্ভাবনাই বেশি।
প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর দেশটির নিউ পপুলার ফ্রন্টের সমর্থকেরা রাজধানী প্যারিসসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে আনন্দ উচ্ছ্বাস আর মিছিল করেছে। নিউ পপুলার ফ্রন্টের নেতারা বলছেন— জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার তারা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দ্রুত বাম জোটকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন বলে আশাবাদী সমর্থকরা।
রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সে প্রথম ধাপের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করে মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। অন্যদিকে প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পায় বামপন্থি দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। ম্যাক্রোঁর দল ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে যায়।
সূত্র: বিবিসি