গাজায় ইসরায়েলের ভয়বহ হত্যাযজ্ঞের চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ মম্মেলনে এরদোগান এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ন্যাটো জোটের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই যুক্তরাষ্ট্র গেলেন এরদোগান। তিন দিনের এ সম্মেলনে ন্যাটো জোট ও ইইউভুক্ত ৩২টি দেশের সরকার প্রধানরা যোগ দিয়েছেন। ন্যাটো জোটের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় এ বছর বার্ষিক সম্মেলনটি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
ন্যাটো জোটের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী সদস্য তুরস্ক। সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, আমরা অত্যন্ত ধর্য্য সহকারে দোহায় অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
এর আগে ৭ জুলাই আরেক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধ করতে বলেছেন। এতে এরদোগান বলেছেন, ইসরায়েল মানবাধিকার ও সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত করে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নিধণযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ইসরায়েলের আধিপত্তা বিস্তারের খায়েশ বহুদিন ধরেই। ফিলিস্তিনের পর এবার তাদের নজর লেবাননের দিকে। তারা গোটা অঞ্চলে তাদের দখলদারীত্ব কায়েম করতে চায়।
সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন বলেও জানান এরদোগান। শুধু সিরিয়াই নয়, ইরানের সঙ্গেও সম্পর্ক আরো জোরদার করছেন বলে জানান এরদোগান। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে তুরস্কের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে ইরানকে নিয়ে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করবো।