ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে সবজির দাম বাড়ায় বাজারে বাজারে অভিযান!

বুধবার (১০ জুলাই) বাজারে বাজারে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স। তাতে এক ধাক্কায় এক একটি সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।
  • | ১০ জুলাই, ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে সবজির দাম বাড়ায় বাজারে বাজারে অভিযান! এক ধাক্কায় কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কাঁচা বাজারে সবজির দাম কমাতে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজারে বাজারে অভিযান চালাবে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ এবং পুলিশ। সঙ্গে থাকবে এসটিএফ এবং সিআইডিও।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর বুধবার (১০ জুলাই) থেকে  রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স। তাতে এক ধাক্কায় এক একটি সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। কোথাও আবার পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওজনে কারচুপিও হাতেনাতে ধরেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

বুধবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের একাধিক বাজার পরিদর্শন করেন আসানসোল সদরের মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে ছিলেন জেলার কৃষি বিপণন বিভাগ, কৃষি পরিমাপ বিভাগ, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা।

অভিযানে গিয়ে তারা দেখেন, ‘হোলসেল’ বাজারের চেয়ে পাইকারি বাজারে সবজির দাম অনেক বেশি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। কয়েক জনকে ‘স্পট ফাইন’ও করা হয়। অভিযান শেষে মহকুমা শাসক বলেন, বাজারে সবিজির দাম সত্যি সত্যি অনেকটাই বেশি রয়েছে। হোলসেল মার্কেটে যে দাম দেখলাম তার থেকে সাধারণ বাজারে দাম অনেকটাই বেশি। এতটা ‘ডিফারেন্স’ হওয়ার তো কথা নয়। কয়েক জন পাইকারি ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।

অনেক দোকানে ওজনের দাঁড়িপাল্লাও ঠিক নেই বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক। তিনি বলেন, এক দিকে যেমন জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি নিচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা, আবার ওজনেও কারচুপি করা হচ্ছে!

আসানসোল বাজার ছাড়াও হটন রোডসহ আরও বেশ কিছু বাজারে ঘুরেছেন কর্তকর্তারা। এর পরেই বাজারে বাজারে কাঁচা সবজির দাম অনেকটাই কমে আসে বলে দাবি ক্রেতাদের। কয়েক জন ক্রেতা হাসিমুখে দাবি করেন, মঙ্গলবার থেকে বুধবার, এক দিনে সবিজির দাম অনেকটাই কমে গেছে। সরকারের নজরদারিই দাম কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

এক ক্রেতা বলেন, বেগুন প্রতি কেজিতে ছিল ১২০ টাকা। বুধবার তা ৭০-৮০ টাকায় চলে এসেছে। পটল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। বুধবার ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকেরই বক্তব্য, এখান থেকেই পরিষ্কার, অনেক ব্যবসায়ী অযথা এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে সব্জির দাম বাড়িয়ে রাখেন।

বৃষ্টির ফলে ফলনে ঘাটতি দেখা গেছে। সবজির চাহিদা আনুযায়ী জোগান ছিল না। ফলে সবজির মূল্য মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যয়। সরকারের অভিযানের ফলে সবজির দাম কমে এখন রক্রতার নাগালের মধ্যে চলে এসেছে।