ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলকে ন্যাটো জোটে নেওয়া হবে না

এরদোগান বলেন, নেতানিয়াহুর সম্প্রসারণবাদী আচরণ ও বেপরোয়া নীতির কারণে ফিলিস্তিসহ গোটা অঞ্চলে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
  • | ১৫ জুলাই, ২০২৪
ইসরায়েলকে ন্যাটো জোটে নেওয়া হবে না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান

ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইসরায়েলের মতো বর্বর দেশ কখনো ন্যাটো জোটের সহযোগী সদস্য হতে পারে না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আয়োজিত ন্যাটোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সম্মেলনে এরদোগান এ কখা বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।
 
৩২টি দেশের সামরিক জোট ন্যাটোর দ্বিতীয় শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের পরই জোটে তার অবস্থান। শুক্রবার ওয়াশিংটনে ন্যাটোর সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান এ কথা বলেন। এই ৩২ রাষ্ট্র ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আছে ন্যাটোর। এসব দেশকে বলা হয় ন্যাটো পার্টনার অংশীদার।

গাজায় যেভাবে ইসরায়েল নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে- এ কারণে বর্বর দেশটি কখনোর ন্যাটো সামরিক জোটের অংশীদার বা পার্টনার হতে পারবে না বলে জানান এরদোগান।  

ইসরায়েল যুদ্ধরাজ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন স্বৈরাচার বলে অবিহিত করেন তিনি। এরদোগান বলেন, নেতানিয়াহুর সম্প্রসারণবাদী আচরণ ও বেপরোয়া নীতির কারণে ফিলিস্তিসহ গোটা অঞ্চলে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। যে পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিনে তার দখলদারিত্বের অবসান না ঘটাবে এবং গণহত্যা বন্ধ না করকে, ততদিন কোনোভাবেই ন্যাটোর সহযোগী হতে পারবে না এই ইহুদিবাদী দেশ।

এরদোগান ইসরায়েলকে মনে করিয়ে দেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে চাইলে অবশ্যই তুরস্কের অনুমোদন নিতে হবে। আর স্বৈরাচারী আচরণ ও বর্বরতা পরিহার না করলে তুরস্ক কখনোই কোনো দেশকে অনুমোদন দেবে না। তিনি আরো বলেন, ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো দ্বি-রাষ্ট্র নীতিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের অবসান চায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের ফিলিস্তিনের সীমান্ত মেনে দখল করা বাকি অংশ ছেড়ে দিতে হবে।

এরদোগান বলেন, অত্যন্ত আনন্দিত যে- অনেক দেশ এখন আন্তর্জাতিক আদলতে চলমান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ববাসী এখন ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে।