ভারতের মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা শুরুর ১৮ মাস পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সঙ্গে রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে দিল্লিতে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয় মণিপুর রাজ্যে। এই প্রথম মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে একটা বড় সময় নীরবই থেকেছেন মোদি। এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
এই আবহেই বীরেনের সঙ্গে বৈঠক মোদির। ওই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট কথা হয় তাদের মধ্যে। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে রোববার বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকের পাশাপাশি, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথাও বলেন মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ২০ মিনিট কথা হয়েছে তাদের।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। মারা গিয়েছেন অন্তত ২২৫ জন। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার। এখন সেই সহিংসতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যদিও মাঝেমধ্যেই মণিপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে সংঘর্ষ বা প্রাণহানির অভিযোগ উঠেছে। উঠেছে নারী নিগ্রহের অভিযোগও। ১৮ মাস ধরে এই ঘটনা চললেও এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটা বড় সময় কার্যত নীরবই থেকেছেন। গত বছর জুলাই মাসে মণিপুরে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় তিনি ব্যথিত এবং ক্রুদ্ধ হন বলে জানান মোদি।
তবে কখনও মণিপুরের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে যাননি। তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে বিতর্কে মোদি ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট বক্তৃতা করলেও মণিপুর নিয়ে কোন কথা বলেননি। তা নিয়েও সংসদে স্লোগান দিয়েছেন বিরোধীরা।