ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া জায়নবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভাই, নেতা, মুজাহিদ ও আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে তার সদর দফতরে জায়নবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন। এর আগে তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।’
হামাস পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-আকসা টিভিতে সংগঠনটির নেতা মুসা আবু মারজুক বলেন, ‘আমরা এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দেব। এই হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’ হামাসের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি সৌদির টেলিভিশন চ্যানেল আর আরাবিয়াকে বলেন, ‘ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে যে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় শত্রুরা, তা কখনও পূরণ হবে না।’
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক উপলক্ষে তেহরান সফরকালে গুপ্ত হামলায় নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বুধবার সকালে ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরানে হামলায় ইসমাইল হানিয়া ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন। এছাড়া ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও হামাসের শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে বিবৃতি দেয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলছে, হামলার ঘটনাটি এখনো পরিষ্কার নয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
এর আগে গত এপ্রিলে ঈদের দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হন। গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন। ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ার পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এছাড়া গত নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।