ভারতের কেরালায় টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৩০৮ জন বলা হলেও স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে ৩৪০ জন। মঙ্গলবার ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩ আগস্ট) পঞ্চম দিনেও চলছে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান। এখনও নিখোঁজ শতাধিক মানুষ। কাদা-মাটির স্তূপের মধ্যে এখনও কি চাপা পড়ে রয়েছে প্রাণের স্পন্দন? জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনীও।
কাদা-মাটির স্তূপের নীচে এখনও কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা খুঁজে বের করতে বিশেষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ড্রোন ও র্যাডার ব্যবহার করা হবে। শুক্রবারও ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে চার জনকে। নিখোঁজ এখনও প্রচুর মানুষ। সময় যত এগোচ্ছে, জীবিত উদ্ধারের আশা তত ক্ষীণ হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার সকালে আকাশপথে ওয়েনাড়ের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিকাশ রানা জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা উদ্ধারকারী দল গঠন করে একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবারের মতো শনিবারও একই ভাবে উদ্ধারকাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। পৃথক পৃথক উদ্ধারকারী দলকে ইতিমধ্যেই সেই জায়গাগুলিতে পাঠানো হয়েছে।” প্রতিটি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকাল থেকে ওয়েনাড়ের উদ্ধার অভিযানে সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। উদ্ধার অভিযানে পারদর্শী বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাও ওয়েনাড়ের বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছে গেছেন। সেনাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুলিশের নেতৃত্বে এই উদ্ধারকাজে সব মিলিয়ে ১৩০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকারীকে মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা ওয়েনাড়ের পুঞ্চিরিমাত্তম এলাকায় একটি অস্থায়ী সাঁকো বানিয়েছেন গ্রামে উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য।