জাপানের ‘নাগাসাকি’তে পারমাণবিক বোমা হামলার স্মরণে এ বছরের শান্তি অনুষ্ঠানে ইসরায়েলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। আগামী ৯ আগস্ট এ শান্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘শান্তিপূর্ণ ও নির্মল পরিবেশ’ বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাগাসাকি শহরের মেয়র। পারমাণবিক বোমার বিপর্যয়ের শিকার আরেক শহর ‘হিরোশিমা’র কর্তৃপক্ষ অবশ্য এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
শান্তির গুরুত্ব ও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর কূটনীতিকদের নিয়ে দুই শহরে শান্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হিরোশিমার বার্ষিক শান্তি অনুষ্ঠানে এই বছর ১১৫টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
হিরোশিমা ও নাগাসাকি— উভয় শহরই গাজায় বোমাবর্ষণের কারণে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা থেকে ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার জন্য অধিকার কর্মী এবং সেই পারমাণবিক বোমার ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
নাগাসাকি শহরের মেয়র শিরো সুজুকি সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার কারণে ইসরায়েলকে অতিথির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মেয়র আরও বলেন, জোর দিয়ে বলতে চাই, এই সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে নয়। বরং শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠানটি করার এবং অনুষ্ঠানটি যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ইচ্ছের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই জাপান নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। সেই পারমাণবিক বোমা হামলায় তাৎক্ষণিক কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। পরবর্তীতে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রভাবে মারা যান আরও অনেকে।