ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বুদ্ধদেবের গেলেন মমতা

রাজনৈতিক জীবনে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিপরীত মতাদর্শের ছিলেন বুদ্ধদেব-মমতা। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেই মমতা রাজ্যের শাসনক্ষমতা দখল করেন।
  • | ০৮ আগস্ট, ২০২৪
বুদ্ধদেবের গেলেন মমতা বুদ্ধর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তার ঝাড়গ্রাম সফরে যাওয়ার কথা। দুপুরে সেই সফরে রওনা হওয়ার আগে মমতা বুদ্ধদেবকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে যান। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য়ের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মমতা জানিয়েছেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রায় শ্রদ্ধার সঙ্গে সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদারকি করার জন্য। বুদ্ধদেবের প্রয়াণের খবর প্রশাসনিক সূত্রে জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি মন্ত্রিসভার দুই সহকর্মীকে বলেন দ্রুত বুদ্ধদেবের বাড়িতে পৌঁছে যেতে।

রাজনৈতিক জীবনে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিপরীত মতাদর্শের ছিলেন বুদ্ধদেব-মমতা। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেই মমতা রাজ্যের শাসনক্ষমতা দখল করেন। কিন্তু তার পর থেকে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট থেকেছে। রাজভবনে তার শপথে বুদ্ধদেবকে আমন্ত্রণ জানান মমতা। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেন। সৌজন্যের সেই ছবি পশ্চিমবঙ্গবাসীর মধ্যে অমলিন।

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে যে রাজনৈতিক তিক্ততা ছিল দু’জনের মধ্যে, শেষ কয়েক বছরে তার রেশ ছিল না একটুও। মমতা একাধিক বার বুদ্ধদেবের বাড়িতে গিয়েছেন তাকে দেখতে। বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে মমতার যোগাযোগ অটুট ছিল। বুদ্ধদেব একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেই সময়েও তাকে দেখতে গেছেন মমতা। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরে মীরাকে ফোন করে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিয়েছেন মমতা।

বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গায়। রাজনীতি আর মানবিকতা আলাদা। রাজনীতি মানবিকতাকেই সবচেয়ে আগে সম্মান জানায়। খুব খারাপ লাগছে। তার মুখটা মনে পড়ছে। তার স্ত্রী খুব ভালো মানুষ। যখনই তার বাড়িতে গেছি, মীরা  ভট্টাচার্য যত্ন করে, সম্মান দিয়ে কথা বলতেন।